এই ঘটনা জানানোর মতো বাসায় কাউকে পাওয়া যায় না ।

২১ থেকে ২৬....
ছেলেদের জন্যে জীবনের সবচেয়ে কঠিন বয়স। বলতে গেলে মাঝ সমুদ্রে এসে আঁটকে থাকার মতো একটা বয়স। যেখান থেকে সামনে কি আছে জানা নেই... আবার পিছনে ফিরে যাবারও উপায় নেই।  এই বয়সে প্রেমিকার বাসায় একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব আসে.... প্রেমিকা যখন বিয়ের জন্যে চাপ দেয়, তখন বিষয়টি সম্পূর্ণ একটি হাস্যকর ব্যাপারে পরিণত হয়। এই বয়সে বিয়ের চিন্তা করাটাও ইঁচড়ে পাকামী...

 আবার চারপাশে বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার খবর শোনাটাও অস্বস্তির। একদিন প্রেমিকারও বিয়ে হয়ে যায়... এই ঘটনা জানানোর মতো বাসায় কাউকে পাওয়া যায় না ।


.
এই বয়সে পায়ের উপর পা তুলে নিউজ চ্যানেল দেখা যায় না... আবার কার্টুন চ্যানেল দেখাটাও ছেলে মানুষী হয়ে যায়। সমবয়সী বা ছোট মেয়ে কাজিনরা এসময়।দেখলে খুব দূরের মানুষের মতো ব্যবহার করে। কয়েক বছর আগেও যে মুরব্বীরা ঈদের সালামী হিসেবে কচকচে একশ টাকার নোট হাতে ধরিয়ে দিতেন... তাঁরা এসময় খুব গম্ভীর মুখ করে জিজ্ঞেস করেন, "ফিউচার প্ল্যান কি...?? ক্যারিয়ার নিয়ে কি ভাবলে??"
.
এই বয়সে ডাইনিং টেবিলে বসে আহ্লাদী করে মা'কে খাইয়ে দিতে বলা যায় না.... তরকারী পছন্দ না হলেও শান্ত ভাবে খাওয়া শেষ করতে হয়। এসময় ছোট-খাটো জ্বর, সর্দি-কাশি হলে সেটা কারো চোখে পড়ে না.... এই ধরণের অসুখগুলো নীরবে সহ্য করে যেতে হয়।
.
এই বয়সটা কিছুই না পাওয়ার.... পুরোনো কাছের মানুষগুলোকে হারিয়ে ফেলার। এই বয়সটা অনিশ্চয়তার। অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত দায়িত্বের।।যেসব দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর ভুলে যেতে হয়
কে আমি,
কি ছিলাম...
কেনো আমি।