শবেবরাতের কোন অস্তিত্ব ইসলামে নেই!!

আপনাদের যে আমি আর কি দিয়ে বুঝায় শবেবরাতের কোন অস্তিত্ব ইসলামে নেই!! 

শবেবরাত এর ইবাদাত সম্পর্কে যে সকল হাদিস বলা হয় তা সবই জাল(মানে মানুষের বানানো) সৌদি আরবে অবস্থানকারী ভাইয়েরা আমাদের জানান গতকাল কি আপনারা শবে-বরাত পালন করেছেন?

ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশের বিদআতিরা আজ হল আহলে জাল হাদীস। এই কয়েকটি দেশ ছাড়া এত উৎসবমুখর পরিবেশে পৃথিবীর কোথায় আজকের এই শবে-বরাত নামে বিদআতী দিবস উৎযাপন করা হবে না। যে মক্কা ও মদীনা থেকে ইসলাম এসেছে সেখানে, সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার এইসব কোন দেশে এই দিবস পালিত হবে না। এই শবে-বরাত যদি ইসলামে থাকে তাহলে ঈদুল-ফিতর, ঈদুল-আযহার মত সারা বিশ্বে কেন উৎযাপিত হচ্ছে না? সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের একদিন আগে ঈদ ও রোজা করে থাকে। এইসব দেশে কি গতকাল শবে-বরাত উৎযাপন করছে? আজ তাদের সরকারী ছুটি নাকি?
যেসব ভাইয়েরা মক্কা ও মদিনা সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আছেন তারা আমাদের জানান, তারা কি গতকাল মসজিদগুলোতে আমাদের দেশের মত শবে-বরাত পালন করেছে। আজ তারা কি রোজা রেখেছে? ২০০৪ সনের এই দিবসে এক দ্বিনি ভাই দুবাই ছিল তখন সেইসব মসজিদগুলোতে সে দেখেন্নি তারা শবে-বরাত পালন করেছে। যাদের আত্মীয়-স্বজন মধ্যপ্রাচ্যে আছে তারা ফোনে বা নেটের মাধ্যমে জানুন তারা কি এই দিবস পালন করেছে? নাকি এটি শুধু আমাদের দেশেই পালিত হচ্ছে? তাহলে ফজিলতের ধোকায় পড়ে কেন আপনি এই এই দিবস পালনে মাতহারা হয়ে গেছেন? শবে-বরাত হলে বিদ‘আত।
আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رد
যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছে যা এতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত (বাতিল/গ্রহন করা হবে না)। [সহীহুল বুখারী: ২৪৭৯, সহীহ মুসলিম: ১৭১৮]
জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ، وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِي النَّارِ
আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল দ্বীনের মধ্যে নতুন জিনিস সৃষ্টি করা আর সকল নতুন জিনিসই বিদআত আর সকল বিদআত-ই-গুমরাহী (পথভ্রষ্ট) আর সকল গুমরাহীর (পথভ্রষ্ট) পরিণাম জাহান্নাম। [নাসায়ী : ১৫৭৮]
আল্লাহ বলেন-
وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَنْثُورًا
আর তারা (দুনিয়ায়) যে সকল আমল করেছিল আমি সেদিকে অগ্রসর হব অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণারূপে পরিণত করে দেব। আল-ফুরক্বান, ২৫/২৩
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
إِنَّ الإِيمَانَ لَيَأْرِزُ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا تَأْرِزُ الْحَيَّةُ إِلَى جُحْرِهَا
সাপ যেমন সস্কুচিত হয়ে আপন গর্তের দিকে প্রত্যাবর্তন করে তদ্রুপ ঈমানও সস্কুচিত হয়ে মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। সহীহ বুখারী: ১৮৭৬, সহিহ মুসলিম: ২৬৯
إِنَّ الإِسْلاَمَ بَدَأَ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا كَمَا بَدَأَ وَهُوَ يَأْرِزُ بَيْنَ الْمَسْجِدَيْنِ كَمَا تَأْرِزُ الْحَيَّةُ فِي جُحْرِهَا
অপরিচিতের বেশে ইসলাম শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা আবার অপরিচিত অবস্হায় ফিরে যাবে। সাপ যেমন সংকুচিত হয়ে তার গর্তে প্রবেশ করে তদ্রুপ ইসলামও দুই মাসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম : ২৬৮
ইমান ও ইসলাম কেবলমাত্র মক্কা-মদিনায় থাকবে। মদিনাবাসী যদি শবে-বরাত পালন না করে থাকে তাহলে আমরা কিভাবে শবে-বরাত পালন করছি ? গতকাল মদিনাবাসী কি শবে-বরাত পালন করেছেন?